লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ আটক ২ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মাহমুদ আহম্মদ ও জোর করে অন্যের ভোট দেয়ায় নৌকার এজেন্ট মাজহারুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটক মাহমুদ দিঘলি ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং মাজহারুল আওয়ামী লীগের প্রার্থীর (নৌকা) এজেন্ট।

রাজাপুর মুসলিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম জামিরতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিঘলী উচ্চ বিদ্যালয় ও পূর্ব জামিরতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, পথে পথে ভোটারদেরকে বহিরাগতরা বাধা দিচ্ছে। নৌকায় ভোট দেবে কিনা- নিশ্চিত হয়ে কেন্দ্রে যেতে দেয়া হচ্ছে। নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে যেতে দেয়া হবে না বলে প্রভাব খাটানো হচ্ছে। এসব কেন্দ্রে দুপুর ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল না। এই ছাড়াও রাজাপুর মুসলিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ঘোড়া প্রতীকের এজেন্টকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আরাফাতুন নেছা, শিল্পি আক্তার, মাহমুদা খাতুনসহ কয়েকজন ভোটারের অভিযোগ, তাদেরকে কেন্দ্রে যেতে দেয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রে যাওয়ার সময় বাধা দিয়ে নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। কোথায় ভোট দেব তা অন্যদের বলেননি বলে তাদেরকে যেতে দিচ্ছে না। পরে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে লোকজন সরে গেলে তারা ভোট দিতে আসতে পেরেছেন।

  • ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আলতাফ হোসেন খান বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাউদ্দিন চৌধুরী জাবেদের ভাই জসিম ও তার লোকজন আমাকে বেদম মারধর করেছে। আমার মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। পথে পথে ভোটারদের বাধা দিচ্ছে। এজেন্ট বের করে দিচ্ছে। অন্যের ভোট আওয়ামী লীগের লোকজন নৌকায় জোর করে দিয়ে দিচ্ছে।

  • নৌকার প্রার্থী সালাউদ্দিন চৌধুরী জাবেদ বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। কেন্দ্রে কাউকে বাধা দেয়া হচ্ছে না। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী পরিবেশ নষ্ট করতে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।

  • লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন বলেন, অনিয়ম করায় সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মাহমুদকে আটক করা হয়েছে। একই কেন্দ্রে জোর করে অন্যের ভোট দিয়ে দেয়ায় নৌকা প্রার্থীর এক এজেন্টকেও আটক করা হয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে আমরা সতর্ক রয়েছি।